ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা শান্ত খানের প্রায় ১৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই সম্পদ অর্জনের কোন বৈধ উৎস না দেখাতে পারায় মাঠে নেমেছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সম্পদের সত্যতা নিশ্চিত করতে ৫৮টি দেশি-বিদেশি ব্যাংকের এমডি ও সিইওর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকারের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
শান্ত খানের বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে ওই চিঠিতে। এ অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ব্যাংকগুলোতে তার নিজের ও যৌথ নামীয় সঞ্চয়ী, চলতি হিসাব, এফডিআর, ডিপিএস ইত্যাদির হিসাব বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম ও কেওয়াইসি পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, জামানত ও ঋণ পরিশোধের তথ্য, সঞ্চয়পত্র ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
দুদকের চাওয়া তথ্য ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চাঁদপুরের আলোচিত চেয়ারম্যান ও প্রযোজনা সংস্থা শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের ছেলে শান্ত খান। ‘প্রেম চোর’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১৯ সালে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর তাকে দেখা যায় ‘টুঙ্গীপাড়ার মিয়া ভাই’ ও ‘বিক্ষোভ’ সিনেমায়।